আরিফ গাজী :
কুমিল্লার মুরাদনগরে পুকুর থেকে বিকাশ চন্দ্র বর্মণ নামের এক কিশোরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামী শাকিব (২৪) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত শাকিব উপজেলা সদরের করিমপুর গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলাটি কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় ও মুরাদনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাংগীর আলমের প্রত্যক্ষ তদারকিতে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নাহিদ আহম্মেদের নেতৃত্বে পালিয়ে থাকার ৮ দিনের মাথায় সোমবার চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানা এলাকা থেকে প্রধান আসামী শাকিবকে গ্রেফতার করা হয়।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নাহিদ আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে বিকাশ চন্দ্র বর্মণের হত্যা মামলার প্রধান আসামী শাকিবকে সোমবার চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার শাকিবের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি শেষে তাকে কুমিল্লার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদরের জালো বাড়ীর প্রহ্লাদ চন্দ্র বর্মণের ছেলে বিকাশ চন্দ্র বর্মণ গত ৩০ অক্টোবর দিবাগত রাতে লক্ষি পুজোতে আনন্দ করতে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যায়। পুজোর আনন্দ শেষে বাড়ী ফেরার পথে সাথে থাকা মোবাইল ফোনটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে শাকিব তার হাতে থাকা একটি ধারালো ছুরি দিয়ে বিকাশের পেছনে আঘাত করে।
এ সময় বিকাশ তার বাড়ীর কাছাকাছি চলে আসলে শাকিব আবারো তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে বিকাশের ঘাড়ে আঘাত করে। এসময় বিকাশ মাটিতে লুটিয়ে পরলে শাকিব সেই ধারালো ছুরি দিয়ে বিকাশকে জবাই করে পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। হত্যার ২দিন পর সোমবার (২ নভেম্বর) সকালে পুকুরে বিকাশের মরদেহ ভেসে উঠলে পরিবারের লোকজন লাশ সনাক্ত করে মুরাদনগর থানায় খবর দেয়।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই বিকাশের বাবা বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় ছেলে হত্যার মামলা করেন। সেই দিনই পুলিশ সন্দেহ ভাজন বিকাশের বন্ধু উত্তম বর্মণ ও অজয় চন্দ্র সরকার সাবু নামের দুথজনকে আটক করে। সোমবার ৮ দিনের মাথায় মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।